বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা ও উৎকৃষ্টতা দুই দিক থেকেই হিমসাগর আম অনেক এগিয়ে। ক্ষিরসাপাত আমের সাথে এর অনেক মিল রয়েছে। দেখতে প্রায় একই রকমের। তবে স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা আছে। জুনে মাসের প্রথম সপ্তহ থেকে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তহ পর্যন্ত এ আম পাওয়া যায়। কাঁচা অবস্থাতে হাল্কা সবুজ ও পাকলে সবুজাভ হলুদ রং ধারণ করে। এর ত্বক মসৃণ খোসা মাঝারি ধরনের পুরু হয়। এটি আঁশবিহীন, সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু ও অত্যন্ত রসালো একটি ফল।
স্বাদে অপূর্ব আমটি খেতে খুবই মিষ্টি। অন্যান্য আমের তুলনায় আকারে বেশ বড়। বিন্দু পরিমান আঁশ নেই । রসে টইটম্বুর । আম পরিপক্ক হলে হলুদ বর্ন ধারন করে । নিশ্চিন্ত মনে চোখ বন্ধ করে খাওয়া যায় । একবার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছা করে। হিমসাগর ও ক্ষিরসাপাত উভয় জাতের আম রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষিরা অঞ্চলে বেশি উৎপাদিত হয়। এ আমটি গাছে প্রচুর ধরে। এর চাহিদা বাংলাদেশের সর্বত্র এবং আমটি ব্যাপক বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করেছে।